জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী উপজেলা সদরে রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অঙ্গিকার করেন। বিএনপির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র নুরুল আমিন, এলডিপির প্রার্থী সাবেক পৌর কমিশনার মফিজুল ইসলাম ও পৌরসভা আ’লীগ সদস্য ইমাম হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করায় দুই দলে আর বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলো না। এবার নির্বাচনে আ’লীগ-বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী ছাড়াও প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী আবদুর রহমান জামী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাম্মেল হক। রাঙ্গুনিয়ায় আ’লীগের মনোনয়ন শাহজাহান সিকদারকে দেওয়ার পর অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুল ইসলাম চৌধুরী মেয়র পদে নির্বাচন করার ঘোষনা দিলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পরেন। বর্ধিত সভার মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে সকল নেতাকর্মী একাত্বতা ঘোষনা করার পর দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে মতভেদ ভুলে সকল নেতাকর্মী একই মঞ্চে এসে উপনীত হয়েছেন। অপরদিকে বিএনপির হেলাল উদ্দিন শাহকে দলীয় মনোনয়ন দিলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র ও উত্তরজেলা বিএনপির সদস্য নুরুল আমিন মনোনয়ন জমা দিলে বিএনপি নেতাকমীদের মধ্যে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। পরে তিনিও প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়াতে এখন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা আর ধানের শিষে শুরু হয়েছে নির্বাচনী মূল লড়াই। অন্যদিকে ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থীও ভোটযুদ্ধে পিছিয়ে নেই। তাই ত্রিমুখি প্রতিযোগীতায় যোগ হয়েছে নতুন নির্বাচনী আমেজ। এবার পৌরসভা নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও বিশেষ করে আ’লীগের প্রার্থী শাহজাহান সিকদার ও বিএনপির প্রার্থী হেলাল উদ্দিন শাহ’র মধ্যে ভোটযুদ্ধ সীমাবদ্ধ থাকবে বলেও মনে করছেন।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পৌরসভায় নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।