রাঙ্গুনিয়ার পোমরা উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান

 রাঙ্গুনিয়ার পোমরা উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান


জগলুল হুদা : ফলাফলের ভিত্তিতে উপজেলা পর্যায়ে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী বিদ্যাপীঠ রাঙ্গুনিযার পোমরা উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়া করছে। রাঙ্গুনিয়ার প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় হওয়া স্বত্তেও বিষয়টি সংশি¬ষ্টদের নজরে আসছে না।
অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় যেকোন সময় ভবন ধসে পড়ে ঘটতে পাড়ে মারাত্মক দূর্ঘটনা। ভবনের অধিকাংশ কক্ষের ভাঙ্গা ও স্যাঁত-স্যাঁতে মেঝেতে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। প্রতি মূহুর্তেই রয়েছে দূর্ঘটনার আশংকা। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প এই ঝ্্ুঁকি আরও মারাতœক করে তুলেছে। বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি ভূমিকম্পে বিদ্যালয়ে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ৬ষ্ট থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চালু থাকা এই বিদ্যালয়টি ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। এ বিদ্যাপীঠ ৮৭ বছর ধরে গৌরবের পথচলা অব্যাহত রাখলেও জীর্ণতা তার পিছু ছাড়েনি। নতুন-পরাতন ভবন মিলে বর্তমানে বিদ্যালয়ের ১৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর জায়গা সংকুলান নিয়ে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়াও এই বিদ্যালয়টি জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষা, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিবছর শত শত পরীক্ষার্থীর সমাগম ঘটে। সকাল সেশনে এই বিদ্যালযের কক্ষের সমন্বয়ে চলে বিদ্যালয়ের পার্শ্বে অবস্থিত কিন্ডার গার্টেনের পাঠদান কার্যক্রম। সেখানেও রয়েছে শতাধিক প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের সুনাম ও ধারাবহিক ফলাফল অব্যাহত রাখতে দ্রুত একটি ভবন নির্মান ও সংস্কারসহ শিক্ষার সহনশীল পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম টিপু জানান, এ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলনের জন্য আরো একটি ভবন নির্মানের প্রয়োজন। সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক ও ডেস্ক -বেঞ্চের অভাব রয়েছে এ বিদ্যালয়ে। এত সব সংকট থাকা সত্বেও শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অত্র প্রতিষ্টানটি প্রতি বছরের ন্যায় ২০১৪ সালের বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষায় ৮জন অ+ সহ ৯৩% ্এবং জে.এস.সি পরীক্ষায় ১০জন অ+ সহ ৯৮% পাশের হার নিয়ে উপজেলার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের গৌরব অর্জন করে। এছাড়াও বিগত ২০১৪ সালে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় ৬জন শিক্ষার্থী টেলেন্টফুল ও সাধারণ বৃত্তি লাভ করে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মফজ্জল আহাম্মদ কন্ট্রাকটর জানান, কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়টির একটি নতুন ভবন নির্মানের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ণ একটি ভবনের মেরামত কাজ করা হলেও সেখানে নতুন করে দেখা দিয়েছে ফাটল। নতুন ভবন প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করা হলেও কারো নজরদারি না থাকায় তা কোনোমতে সম্ভব হচ্ছে না।
Read More