রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজারহাট বাজারে বর্জ্য অপসারণের বেহাল দশা,ইছামতি নদীর পানি দূষণ

জগলুল হুদা,রাঙ্গুনিয়া::
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ব্যবসা-বানিজ্যের অন্যতম মূল কেন্দ্র রোয়াজারহাট বাজারে বর্জ্য ও পানি নিষ্কাষণের নেই কোন স্থায়ি ব্যাবস্থাপনা। যার কারণে সৃষ্ট দুগন্ধ পরিবেশ দূষণ করছে। ক্রেতা বিক্রেতাদেও পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। অন্যদিকে আবর্জনা পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীতে ফেলার কারণে পানি দূষণ ও ভরাট সহ নদী হারাচ্ছে স্বাভাবিক নাভ্যতা। 
মাঠ পর্যায় পরিদর্শনে দেখা যায়, রোয়াজারহাট রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার একটি অংশ হলেও নেই কোন ময়লা ফেলানোর ডাষ্টবিন, যদিও কোন কোন জায়গায় ময়লা ফেলানোর জন্য সেনিটারি রিংয়ের তৈরি ময়লা ফেলানোর স্থান থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। এই ধরণের একটি রিংয়ের তৈরি ডাষ্টবিন রাখা হয়েছে রোয়াজার হাট পাগলা মামা মার্কেটের সামনে। যেখানে স্তুপ করা আছে ময়লা, পাশে রয়েছে আরও একটি ময়লার স্তুপ। সেই স্তুপ হতে সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধ। যা বিক্রেতাদের পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতা ও গাড়িতে ওঠবার জন্য অপেক্ষারত যাত্রিদের চরম ভুগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌরসভার পক্ষ হতে ভ্যানের সাহায্যে ময়লা অপসারণ করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও তা অত্র বাজারের সম্পূর্ণ ময়লা অপসারণে দেখাতে পারছে না কার্যকরি ভূমিকা। যার কারণে যত্রতত্র চড়িয়ে চিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা ও ময়লার স্তুপ। এই চড়িয়ে থাকা আবর্জনা পানি নিষ্কাষণে বাঁধার সৃষ্টি করছে। এছাড়াও বাড়তি ময়লা ফেলা হচ্ছে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদীতে। ফলে নদী ভরাট সহ ইছামতি নদী হারাচ্ছে স্বাভাবিক নাব্যতা, সৃষ্টি হচ্ছে পানি দূষণ। পানি নিষ্কাষনের সঠিক ও স্থায়ি কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ বাজার জুড়ে কাঁদার সৃষ্ট হয়। রোয়াজারহাট বাজারের ভেতরের কাঁচা বাজারগুলো সহ কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের পশ্চিম গলি ও পূর্ব পাশের মার্কেট থেকে শুরু করে রুবেল সুপার মার্কেটের সামনের ও পূর্বে রাস্তা পর্যন্ত, অপরদিকে কাপ্তাই সড়কের দক্ষিণে জয়নাব সফিং সেন্টার হতে পাগলামামা মার্কেটের সামনের অংশের রয়েছে কর্দমাক্ত ও ময়লা আবর্জনার রমরমা অবস্থা। যার কারণে বাজার করতে আসা ক্রেতাসাধারণ ও বিক্রেতাদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। 
তাই বর্জ্য অপসারণ ও পানি নিষ্কাষনের স্থায়ি ও কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাঙ্গুনিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক এলাকাকে দুর্গন্ধ মুক্ত,কাঁদা মুক্ত ও দুষণমুক্ত করা হোক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যবসায়ি ও সাধারণ ক্রেতা সাধারণের এই প্রত্যাশা।


Author:

Facebook Comment