রাঙ্গুনিয়ায় শিল্পী দম্পতি কাজল-সুমার দ্বৈত সংগীত সন্ধা ‘শরতের জলসা’



জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া : রাঙ্গুনিয়া সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে গান আর সুরের মুর্চ্ছনায় শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রামের টিভি ও বেতার শিল্পী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ কাজল ও জুলিয়ানা ছাদেক সুমার সঙ্গীত সন্ধ্যা ‘শরতের জলসা’। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সৈয়দবাড়ি সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পী দম্পতি ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘যেটুকু সময় তুমি কাছে থাকো’, ‘একটি রঙ্গিন চাঁদর’, চান্দে যেছা রাঙ্গেহে থেরা’সহ একে একে আধুনিক, হারানো দিন ও ছায়াছবির গান সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে নানা সুরের মুর্চনায় মুগ্ধ করেছে আগত শ্রোতাদের মন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন। উদ্বোধক ছিলেন রাঙ্গুনিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছরোয়ার ছালেক সিকদার। সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গুনিয়া সাং®কৃতিক পরিষদের আহবায়ক নিজামুল করিম। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রকৌশলী রিটন বড়–য়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে কুলসুম, চট্টগ্রাম সি.আই.ই.টি’র অধ্যক্ষ কে. এম. মো. মুছা, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিগারুল ইসলাম জিগার, এডভোকেট এম. জাফর আলম। আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, রাজনৈতিক সাদেকুন্ নুর সিকদার, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ নাসির, কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী মোশাররফ হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম তালুকদার, রাজনৈতিক মো. ফরিদ, সংগীত শিল্পী মাহাবুবুল আলম, ঝুলন দত্ত, নাট্যজন ডা. আবুল ফজল, বিপুল বড়–য়া, মিজানুর রহমান বাবু, আইয়ুব মাহমুদ, এস.এম খোকন, তপন বিশ্বাস রতন, রাঙ্গুনিয়া সাং®কৃতিক পরিষদের মোহাম্মদ শরীফ, মেজবাহ উদ্দিন, সংগীতগুরু রাজেশ সাহা, দুলাল চৌধুরী, অশ্র“ বড়–য়া, অন্জনা রায় চৌধুরী, রাউজান শুভম্ মিউজিক্যাল গ্রুপের সভাপতি ডা. সুপণ বিশ্বাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে আগত অতিথিরা সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিটি শাখা সহায়ক শক্তি হিসেবে প্রতিনিয়তই উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তেমনই,যুবসমাজকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখতে এমন আয়োজন একটি শৈল্পিক প্রতিবাদ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আর এই সব প্রতিবাদ প্রকৃত অর্থে মানুষকে আশাবাদী করে তোলে। এমণ সংস্কৃতির চর্চা প্রতিনিয়ত অব্যাহত থাকবে বলেও অতিথিরা বক্তব্যে আশাপ্রকাশ করেন।


Author:

Facebook Comment