রাঙ্গুনিয়ায় গরু চুরির ঘটনায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

রাঙ্গুনিয়ায় গরু চুরির ঘটনায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
রাঙ্গুনিয়া: রাঙ্গুনিয়ায় গরু চুরির ঘটনা নিয়ে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোয়াজার হাট রাঙ্গুনিয়া ক্লাবের অফিস কক্ষ থেকে নিহত যুবকরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পিতা তাকে মেরে ফেলানো হয়েছে বলে দাবি করেন। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানায় অপমৃত্যু মামলা হলেও পোষ্টমর্টেমের পর বিষয়টি হত্যা না আত্নহত্যা জানা যাবে বলে রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার রোয়াজারহাটে গরু বিক্রি করতে আসে পারুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পারুয়া গ্রামের আবদুল করিমের পুত্র আলমগীর(২০)। দাম অনুযায়ী গরুর সঠিক মূল্যে না দেয়ায় স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হলে বাজার ইজারাদার আকবর শাহ চৌধুরীর কাছে নিয়ে আসে। ইজারাদার গরুসহ স্থানীয় বাজার কেয়ারটেকার মোবারককে রাঙ্গুনিয়া ক্লাবের একটি কক্ষে আটক রাখার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি চলে যান। ইতিমধ্যে চুরি হওয়া গরুর মালিক একই গ্রামের গরুর মালিক দাবি করে উদয়ন বড়ুয়া ইজারাদারকে ফোন করে। ইজারাদার গরুর বাছুরসহ নিয়ে এসে প্রমান করার জন্য বলে। বিকাল ৪ টায় স্থানীয় কয়েকজন বালক খেলাধুলা করতে গেলে জানালা দিয়ে আলমগীরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। তারা দ্রুত বিষয়টি বাজার ইজারাদারকে জানালে বাজার ইজারাদার ক্লাবে গিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার এস.আই বাপ্পীকে মুঠোফোনে ঘটনাটি জানান।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। কৌশলে দরজা খুলে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। লাশ ময়না তদন্তের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত আলমগীরের পিতা আবদুল করিম জানান, গরু চুরির সাথে আমার ছেলে জড়িত নেই। সে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে মামলা করবে তিনি জানান।
পারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুর রহমান তালুকদার জানান, গরু চুরির ঘটনার বিষয়ে আমি জেনেছি। গরু বিক্রি করতে এসে সে ধরা পড়ে। মৃত্যুর বিষয়ে তিনি স্থানীয় বাজারে এসে শুনেছে বলে তিনি জানান।
রাঙ্গুনিয়া থানার এস.আই মো. রাশেদ জানান, গলায় ফাঁসির চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় পায়। পরে জানালা দিয়ে বাঁশ ঠেকিয়ে হুক খুলে লাশ উদ্ধার করি। ধারনা করা হচ্ছে অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্নহত্যা করেছেন।

Author:

Facebook Comment