জমে উঠেছে রাঙ্গুনিয়ার পশুর হাট ঃ দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি

জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া  : শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে রাঙ্গুনিয়ায়  কোরবানীর পশুর হাটগুলো। ভারত, নেপালী সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পশু ছাড়াও গৃহস্থের পশু নিয়ে জমজমাট বাজার বসেছে এবার। তবে গতবারের চেয়ে এবারে দেশী গরুর চাহিদা বেশী। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এখন পর্যন্ত পশুর দাম অনেক চড়া। ঈদ সন্নিকট তাই এখন যারা হাটে  আসছে তারা সবাই পছন্দের পশু কিনেই বাড়ি ফিরছে।  উপজেলার শান্তির হাট, গোচরা, রোয়াজার হাট, গোডাউন, মরিয়ম নগর চৌমুহনী, চন্দ্রঘোনা, পদুয়া, কোদালা, শিলক, সরফভাটা, রাণীর হাট, ধামাইর হাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, হরেক রকমের দেশীয় গরু ছাগলে ভরপুর হয়ে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর বাজার। তবে গতবারের চেয়ে এবার দেশী গরুর দাম বেশী হলেও বাইরের গরুর দাম অপেক্ষাকিত কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। গতবার যে গরু ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার তা ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শেষ মুহুর্তে বাজারে কিছুটা ভারতীয় গরু আসতে দেখা যাচ্ছে। ফলে শেষ দিন দাম একটু কমতে পারে। তবে ভারতীয় গরু না আসলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে বিক্রেতা ও ক্রেতারা ধারণা করছেন। ছোট গরু কিনতে গিয়ে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত ক্রেতা সাধারণকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজারে একেকটি গরুর দাম হাকাঁ হচ্ছে সর্বনিুে ৩০ হাজার থেকে এক লাখ কিংবা তিন লাখ পর্যন্ত। এর মধ্যে অনেকেই বাজারে পশুর দাম শুনছেন দাম মনের মতো হলে তা কিনে নিচ্ছেন। কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা দেশি গরু। এর মধ্যে ৪০-৫০ হাজার টাকার মধ্যে গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এবার ভারত থেকে গরু আমদানী কমে যাওয়ায় দেশীয় গরুর চাহিদা গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে বলে জানান বিক্রেতারা।
কাপ্তাই সড়কের গোডাউনসহ একাধিক পশুর হাট পরিদর্শন করে দেখা যায়, কানায় কানায় পূর্ন দেশীয় গরু ও ছাগলে। একেকটি গরুর ওজন ১৫ থেকে ২০ মণের উর্ধ্বে হবে বলে জানান বিক্রেতারা। বিক্রেতারা এসব বড় বড় গরুর দাম হাকাচ্ছেন সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ পর্যন্ত।
সাধারণ ক্রেতারা জানান, এবার দেশী গরুর মূল্য বৃদ্ধি হওয়ার কারণে তাদের কাছে ক্রয় করা কষ্টসাধ্য ও দুরুহ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। এদিকে গরু বেপারীরা কেনা বেশি তার উপর রাস্তাঘাটে অতিরিক্ত চাঁদার দেয়ার কারনে গরু বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে অনেকেই স্বীকার করছেন।

Author:

Facebook Comment